চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি: রাঙামাটি শহরে ও বাঘাইছড়িতে একইদিনে পৃথক দুইটি ঘটনায় পানিতে ডুবে চার জনের মৃত্যু হয়েছে । রাঙামাটি শহরে বিজিবি রোড এলাকায় বল খেলতে গিয়ে , কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
শহরের পর্যটন বিজিবি রোড আমিনা পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হল মাহিদুর রহমান মুহিত (১২) পিতা: মুসিকুর রহমান – আহনাফ সাদিব ইনাম (১২) বন্ধু অত্র এলাকার সিরাজ সওদাগরের নাতী। হাসপাতালে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ জুন) বিকেলে তবলছড়ি পর্যটন বিজিবি রোড আমিনা পাহাড় এলাকায় গোসল করতে যান দুই বন্ধু মুহিত ও ইনাম। এ সময় তারা গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যান। পরে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে একজনের দেহ ভেসে উঠে।
রাঙামাটি বাঘাইছড়িতে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুজনের মত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজলোর কাচালং নদীতে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, মাচালং মন্দরি পাড়া এলাকার কালাধন চাকমার ছেলে সুখর চাকমা (৩২) ও রুপকারী এলাকার গোলাছড়ি গ্রামের শ্রবিক্স চাকমার ছেলে চিরজ্যোতি চাকমা (৪২)। এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মারশ্যিা ইউনয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান আপন চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মাচালং ও রুপকারী ইউনয়িনরে গোলাছড়ি এলাকায় বন্যায় খড়োস্রোতা কাচালং নদীতে মাছ ধরতে ধরতে যান সুখর চাকমা ও চিরজ্যোতি চাকমা। মাছ ধরার এক পর্যায়ে কাচালং নদীর তীব্র পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে দুজনে নিখোঁজ হয়। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বুধবার সারাদিন খোজাখোজির পরও তাদের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রুপকারী বিজয় ঘাট এলাকায় সুখর চাকমা ও গোলাছড়ি এলাকায় চিরজ্যোতি চাকমার মরদেহ ভেসে উঠে।
মারশ্যিা ইউনয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান আপন চাকমা বলেন,’গত বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে। আজ সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে।’
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা রোমানা আক্তার জানান, ‘নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত দুই পরবিারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’